লাল তালিকার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটা খালি রেখেই হজের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।

এবার সবচেয়ে বেশি ১৬২টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার যাত্রী নেবে বিমান বাংলাদেশ। এ ছাড়া ৫৩টি ফ্লাইটে ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস নেবে ২০ হাজার এবং ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার হজ যাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইনস।

কিন্তু, পবিত্র হজ পালন নিয়ে সৌদি আরবের করা নিয়মে ফেঁসে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চূড়ান্ত পর্যায়ে নেমে আসতে পারে খড়গ। এমন আভাস দিয়েছে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ হজ অফিস।

এক চিঠিতে বলা হয়, ৭ জুনের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করতে না পারলে লাল তালিকাভুক্ত করার হুমকি দিয়েছে সৌদি আরব।

সোমবার (৫ জুন) জেদ্দা হজ অফিসের কাউন্সিল জহিরুল ইসলামের এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে ধর্ম সচিবকে। এর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এরই মধ্যে রোববার রাতে ধর্ম সচিবকে বদলি করা হয়। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হজ ডেস্কের উপসচিব মর্যাদার এক কর্মকর্তাকেও।

মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, এবছর হজ যাত্রায় এখন পর্যন্ত ৮৯ হাজারের মতো হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও ৩৪ হাজার হজযাত্রীর ভিসা। এ হিসেবে বাংলাদেশের ৭৩ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এখনও বাকি আছে ২৭ শতাংশ। অথচ সৌদি সরকারের শর্ত পূরণ করতে হলে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে অন্তত আরও ৭ শতাংশ বা ৮ হাজার ৬১০ হজযাত্রীর ভিসা নিশ্চিত করতে হবে।