ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও পানির হাহাকার

ইউক্রেনীয় শীত  মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে ঘনিয়ে আসছে। লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনীয়র বাড়িতে এখন হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রা বিরাজমান। এদিকে, মঙ্গলবার নতুন রুশ হামলার ফলে ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে আবারও বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কিয়েভের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন। সমগ্র লভিভ শহর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এই পরিস্থিতিতে, জনজীবন স্বাভাবিক করতে জরুরি ভিত্তিতে দরকার বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করা। এজন্য লাগাতার ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে কর্মীরা। কিয়েভের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে, রাজধানীর তিন-চতুর্থাংশে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জল পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হলেও রাজধানীর দুই-তৃতীয়াংশের বেশি এলাকায় পরিষেবা ব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা অনলাইনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। শেষ রুশ হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, পরিবহন, আবাসিক এলাকাসহ অনেক কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এতে প্রায় ১০  জন নিহত হয়।

ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এর ফলে লক্ষাধিক মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, কিয়েভে জল পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, তবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি অঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন ছিল। রাজধানীর ৭০ শতাংশ এখনও বিদ্যুৎবিহীন। তিনি আরও বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ইউক্রেন দাবি করেছে যে রাশিয়া মঙ্গলবার ও বুধবার ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে ৭০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে। নয় মাস যুদ্ধের পর,ইউক্রেন অনুমান করেছে যে মস্কো সমস্ত স্থাপনা ধ্বংস করে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করার কৌশল অনুসরণ করছে। হামলায় ইউক্রেনের তিনটি স্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রতিবেশী দেশ মোল্দোভাও ব্ল্যাকআউটের ঝুঁকিতে রয়েছে কারণ এটি ইউক্রেন বিদ্যুতের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। খারকভ অঞ্চলের গভর্নর বলেন: “শহরটি বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছে। এটি জরুরি অবস্থায় বিদ্যুৎ কেটে দিতে হবে।” কেন্দ্রীয় পোলতাভা অঞ্চলের প্রধান দিমিত্রো লুনিন বলেন, “কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘন্টা কাজ করে বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। “গভর্নর ভ্যালেন্টিন রেজনিচেঙ্কো বলেন যে কেন্দ্রীয় ডিনিপার অঞ্চলের প্রায় ৫০ শতাংশে বিদ্যুৎ রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি জটিল।