কালবৈশাখী আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে রাজধানীসহ আরও কয়েকটি জেলায়

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ভোররাতে ঢাকায় হঠাৎ দমকা বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এতে বিপাকে পড়েন রাস্তায় বের হওয়া মানুষ।
 এ সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায় যানবাহনগুলোকে। কাকভেজা হয়ে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে ছোটেন রিকশাচালকরা। ঝোড়ো বাতাসে ভাসমান দোকানের আসবাবপত্র রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ফুটপাতের ওপর ভেঙে পড়ে শোরুমের সাইনবোর্ড।
 
বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশের আরও কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
 
 ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সকাল সাড়ে ৭টার পর বেলা ১১টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এর মধ্যে সিলেট, চট্টগ্রাম, খাঘড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও তীব্র বজ্রপাত অতিক্রম করতে পারে।
 
এদিকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেয়া দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, বরিশাল ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 
এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।