ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সারা দেশের ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে এটি পুরোনো খবর। কিন্তু যে মামলার কারণে ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানতে একটু সময় লেগেছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি বা পিটিআই প্রধানকে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় যুক্ত থাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৯ মে) স্থানীয় সময় দুপুরের পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দুটি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে যান ইমরান খান। সেখান থেকেই পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) আকবর নাসির খান জানান, আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় যুক্ত থাকায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ পুলিশের আইজি জানান, আল কাদির ট্রাস্টের যৌথ মালিক ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। মূলত আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এ মামলা।
এ মামলার আসামি ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশরা বিবি এবং তার সংগঠনের অন্যান্য নেতা। অভিযোগ, ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে বোঝাপড়া হয়েছিল। তাতে পাকিস্তান থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি রুপি যুক্তরাজ্যে পাচার হয়ে যায়, যা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতিকে আরও ভেঙে দিয়েছিল।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) থেকে পাকিস্তান সরকারকে ফেরত পাঠানো ওই ৫ হাজার কোটি রুপি ইমরান খান এবং তার মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী অপব্যবহার করেছিলেন।

শুধু তাই নয়, এ আল কাদির বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির নামে সোহাওয়ার মৌজা বাকরালার ৪৫৮ কানাল জমির (৫৭.২৫ একর) জন্য নিজেদের প্রয়োজনমতো সুবিধা নিয়েছিলেন তেহরিক-ই-ইনসাফের একাধিক নেতা।

এদিকে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে উত্তপ্ত পাকিস্তান। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে রাজধানীতে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।

এছাড়া লাহোর, করাচি ও বেলুচিস্তানসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে দেশটির প্রশাসন। এছাড়া সারা দেশের ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।