বায়ু দূষণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে বায়ু দূষণে বছরে ৮০,০০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বায়ু দূষণের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন রয়েছে। তবে ইটভাটা বন্ধ করতে গেলে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মারধরের শিকার হতে হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

শুধু ইটভাটা নয়, যানজট, মেট্রোরেল ও অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্পও ঢাকা শহরের বায়ু দূষণের জন্য দায়ী বলে রোববার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

রাজধানীর চারপাশে গড়ে উঠেছে সারি সারি ইটের ভাটা। প্রতিনিয়ত নির্গত হচ্ছে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। একই সঙ্গে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন নির্মাণকাজও চলছে। আর যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী। এসব কারণে রাজধানীর বায়ুদূষণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, শহরের বাসিন্দারা বায়ু দূষণের কারণে প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হন তা দিনে ২টি সিগারেট ধূমপানের ফলে মানবদেহের যে পরিমাণ ক্ষতি হয় তার সামিল। নবজাতক থেকে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এর পাশাপাশি বাড়ছে হাঁচি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা। প্রতি বছর প্রায় আশি হা মানুষ এই রোগে মারা যায়। সবাই বলেছে, গড় বার্ষিক জিডিপি ক্ষতি প্রায় সাড়ে চার শতাংশ।