ইরাক থেকেও মার্কিন সেনা প্রত্যাহার

আফগানিস্তানের পর ইরাক থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে ইরাকি সেনা ও মার্কিন সেনারা একমত হয়েছেন। দেশটিতে এখন পাঁচ হাজার ২০০ মার্কিন সেনা রয়েছেন। এর মধ্যে চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দুই হাজার ২০০ সেনা প্রত্যাহার করা হবে। খবর আরব নিউজের ও সিএনএন।

 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের কমান্ডার  জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি এ তথ্য জানিয়েছেন।কমান্ডার ম্যাকেঞ্জির ভাষ্য, ইরাকে থেকে যাওয়া বাকি মার্কিন সেনারা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মূলোৎপাটনে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে পরামর্শ ও সহায়তা দেবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকে যান মার্কিন বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্যের কমান্ডার কেনেথ ম্যাকেঞ্জি। তখন মার্কিন সেনারা তাঁকে জানান, ইরাকি বাহিনী মার্কিন বাহিনীর সহায়তা ছাড়াই এখন আইএস মোকাবিলায় সক্ষম। শুধু ইরাক নয় আফগানিস্তান ও জার্মান থেকেও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাদের প্রত্যাহার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখছে।

আবার , মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন বলেন আমাদের এখন কী প্রয়োজন? আমাদের প্রয়োজন— প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিমানবাহিনীকে আধুনিক করা।মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলতে গত বৃহস্পতিবার পেন্টাগনে যান ইরাকের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। পেন্টাগন থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে।

 

উল্লেখ্য,সাদ্দাম সরকারের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুতের অভিযোগ তুলে ২০০৩ সাল থেকে ইরাকে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করে তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলায়। তখন থেকেই দেশটিতে অবস্থান করেছে মার্কিন সেনারা।

 

আগামীকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক হবে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাদিমির।দুই নেতার ওই বৈঠকে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।