ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ

 

ভারতের ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহত হয়েছেন আটজন। ডুবে গেছে আবাদি ফসলের খেত। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ছয়টায় উত্তর ওডিশা ও তৎসংলগ্ন ঝাড়খন্ড এলাকায় অবস্থান করছিল।

নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় গতকাল বুধবার রাত থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন কেন্দ্র দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চল। ভেঙে গেছে অনেক বাঁধ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ইয়াসের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩৪টি নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এই বাঁধ ভাঙায় রাজ্যের বহু গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। ডুবিয়ে দিয়েছে বহু বাড়ি, ফসল খেত, মাছের ভেড়ি, মাছ চাষের পুকুর। রাজ্যের ১৪টি জেলা ইয়াসের ক্ষতির মুখে পড়েছে।১ কোটি মানুষ আজ ক্ষতিগ্রস্ত। ৩ লাখ কাঁচা ও আধা পাকা বাড়ি ভেঙে গেছে, ডুবে গেছে। ১৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। “

বন দপ্তরের প্রধান বিনোদ কুমার যাদব বলেন, “জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের ভগবতপুরের কুমির প্রকল্পের পাচিল ভেঙে পানি ঢুকে পড়ায় পানির তোড়ে ৮–১০টি ছোট কুমির ভেসে যাওয়ার সময় বনকর্মীরা জাল ফেলে সেগুলো আটকান। তবে বড় কুমির ভেসে গেছে কি না, তা এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বন থেকে ভেসে যাওয়া ৫টি হরিণ ও ১টি বুনো শূকর উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা।“