চট্টগ্রামে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
স্কুলে বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ায় চট্টগ্রামে এক প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছেন মিয়া মো. হারুন খান নামে এক যুবদল নেতা। স্কুলে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি এ সময় প্রধান শিক্ষককে প্রাণনাশের ও হুমকি দেন তিনি। গতকাল শনিবার রাতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানা-পুলিশ। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘নিজাম উদ্দিন ’ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ এলাকার খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. একরাম মিয়া স্কুলে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চান। কিন্তু করোনার জন্য বন্ধ স্কুলে বিয়ের অনুমতি দেননি তিনি।এরপর স্কুলে ‘মেয়ের বিয়ে হতে না দেওয়ায় শিক্ষকদের স্কুলে আসতে মানা করে দেন আসামিরা।মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে মোট চারজনকে আসামি করে গতকাল রাতে একটি মামলা করেন। তাঁর এই মামলার ভিত্তিতে গতকাল প্রধান আসামি যুবদল নেতা মিয়া মো. হারুন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায় বলেও জানান ওসি মহসিন।তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়াই গত ২৫ জুন স্কুলে বিয়ের আয়োজন করেন একরাম। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। স্কুলে বিয়ের অনুষ্ঠান হতে না দেওয়ায় শিক্ষকদের স্কুলে আসতে মানা করে দেন আসামিরা এবং জোরপূর্বক স্কুলে ঢুকেন একরাম মিয়ার ভাই চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মিয়া মো. হারুন খান ও তার আরেক ভাই জানে আলম, মো, মাসুদ, মো. প্রিন্স এবং মো. আল নাহিয়ান। প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে টেবিলে থাপ্পড় মেরে ‘তাকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়।
করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আছে।