আসছে ডেঙ্গু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস জানায়, জানুয়ারি থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৯২ জন। এর মধ্যে গতকাল ৮১ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাদের ৮০ জনই ভর্তি ছিল রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। আর বাকি একজন রোগী ভর্তি ছিলেন ঢাকা জেলায়। গত ১১ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৮৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চলতি বছরে মোট শনাক্তের ৬৯ শতাংশ। গত বছরের জুন মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিল ২০ জনের। সে হিসাবে গত বছরের জুন মাসের তুলনায় এবারের জুন মাসে রোগী বেড়েছে সাড়ে ১৩ গুণ। ২০২০ সালে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ হাজার ৪০৫ জন।সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই চার মাস মূল মৌসুম। কয়েক দিনের থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টি এডিস মশার বংশবিস্তারে প্রভাব ফেলছে।
গত বছর ডেঙ্গুর এত প্রকোপ দেখা যায়নি। দুই সিটি করপোরেশন চিরুনি অভিযানসহ বেশ কিছু কার্যক্রম চালায়। এবার ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশের সিটি করপোরেশনগুলোকে নিয়ে একাধিক প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন প্রতিদিন সকালে মশার লার্ভা মারার জন্য লার্ভিসাইডিং এবং বিকেলে উড়ন্ত মশার মারার জন্য অ্যাডাল্টিসাইডিং করছে।
শুধু ওষুধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব না বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা বেশি প্রয়োজন। গত সপ্তাহে বেশ কিছু এলাকায় ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। নারী কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করতে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন বার্তা প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।