টিউলিপের স্বর্গ
আমাদের দেশে টিউলিপপ্রেমীদের অভাব নেই। অনেকে বাসা বাড়ি ছাদে বা বাগানে অল্প করে টিউলিপের বাগান করেছেন। কিন্তু এ বছরই প্রথম গাজীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে বড় পরিসরে টিউলিপবাগান করা হয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া দক্ষিণ গ্রামে মো. দেলোয়ার হোসেনে তার নিজের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে কয়েক বছরের ঐকান্তিক চেষ্টায় তিনি নিজের রচিত স্বপ্ন ছুঁয়েছেন। অনেক পরিশ্রম করেছেন, অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন। কন্দ এনেছেন সেই নেদারল্যান্ডস থেকে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া দক্ষিণ গ্রামে মো. দেলোয়ার হোসেনের এই টিউলিপবাগান দেখার জন্য মানুষের ঢল নেমেছে। উদ্যোক্তাকে ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে। অজস্র মানুষের এই আনন্দঘন উদ্যাপন আমাদের কাছে আরেকটি বার্তা পৌঁছে দিয়ে গেল। দেশে এই ফুলের বাণিজ্যিক চাষ অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে।
মো. দেলোয়ার হোসেনের এই টিউলিপবাগানে ৪ রঙের প্রায় ১ হাজার ১০০ গাছে টিউলিপ ফুটেছে। এর জন্য প্রয়োজন হয়েছে বিশেষ যত্নের। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়েছে তাপমাত্রা।
সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে তিন হাজার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে টিউলিপের চাষ করছে। আবার গ্রিনহাউসেও প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপন্ন হচ্ছে টিউলিপ। মূলত টিউলিপের স্বর্গভূমি নেদারল্যান্ডস। সেখানে প্রতিবছর তিন বিলিয়ন কন্দ রপ্তানির জন্য উৎপাদন করা হয়।
তুরস্কের জাতীয় ফুল টিউলিপ। সাধারণত ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় টিউলিপ ভালো জন্মে। মৌসুম শুরুর আগে কন্দ বা বীজ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সেখান থেকে তিন মাস সময়কাল ভার্নালাইজেশন বা শৈত্য প্রদানকরণ করে দেশে এনে লাগালে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।