দিল্লিতে টিকা নেয়ার পর ৫১ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ভারতে একযোগে করোনার টিকা প্রয়োগের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল শনিবার এর উদ্বোধন করেন। প্রায় ৩০ কোটি ভারতীয়কে করোনা টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

টিকাদানের প্রথম দিন শনিবার দিল্লিতে ৪ হাজার ৩১৯ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেয়া হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

এরই মধ্যে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী এক যুবককে (২২) সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) থাকলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

দুটি করোনা টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। সেগুলো হচ্ছে- অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ও সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারতীয় বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’।

তবে এরই মধ্যে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিন’ নিতে আপত্তি জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। দিল্লির অন্যতম বৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

তারা বলছেন, এই টিকা ট্রায়ালের সবকটি ধাপ যথাযথভাবে সস্পন্ন করেনি। তাই এটি গ্রহণ করে তারা ঝুঁকিতে পড়তে চান না। পার্শপ্রতিক্রিয়া দেয়া দেয়া ব্যক্তিরা কোন টিকাটি নিয়েছেন তা জানা না গেলেও বৃহৎ এই কর্মযজ্ঞের শুরুতেই হোঁচট খেলো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

করোনা মোকাবেলায় দায়িত্ব পালন করা ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম ধাপে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। টিকাদানে তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে ঋণ শোধ করার চেষ্টা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় দ্বিতীয় দফায় ৩০ কোটি ভারতীয়কে করোনার টিকা দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সকল ভারতীয়কে টিকার আওতায় আনা হবে। করোনার সময়ের মতো টিকাদানেও ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

প্রতি বছর ৪০ কোটি নবজাতক ও প্রসূতি মাকে ১২টি রোগের টিকা দিয়ে আসছে ভারত, যা বিশ্বে বৃহত্তম টিকাদানকারী দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে।