চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা

সাইফ স্পোর্টিংকে ১–০ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন  বসুন্ধরা কিংস ।ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নাম লিখিয়ে একটার পর একটা টুর্নামেন্ট খেলছে বসুন্ধরা আর শিরোপা নিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজও সেই পুরোনো দৃশ্য। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই মাঠে নেমেছিল করপোরেট ক্লাবটি।

নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আজ ফাইনালে খেলতে নেমেছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। তারুণ্যনির্ভর দলটি। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা দলটির ফাইনালের চাপ আর জয় করা হলো না।

৫২ মিনিটে একমাত্র গোল করে ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছেন দলটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার রাউল বেসেরা। টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচ খেলে সব কটি ম্যাচেই একটি করে গোল করলেন বেসেরা। যৌথভাবে সাইফের কেনেথ নয়োকের সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি।

বসুন্ধরার লাতিন সৌন্দর্য সুরভী ছড়ানো বন্ধ করতে মোক্ষম এক চাল দিয়েছিলেন পল পুট। বসুন্ধরার আক্রমণটা সাধারণত তৈরি হয় দুই ব্রাজিলিয়ান জোনাথন ফার্নানদেজ ও রবসন ডি সিলভার পায়ে। কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ানদের বলের উৎস হোল্ডিং মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি ও সেন্টারব্যাক তপু বর্মন।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরাকে রুখতে সাইফ যেন আজ ১২ জন খেলোয়াড়ের শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছিল! খেলার শুরু হওয়ার আগে পা ভেঙে হাসপাতালে থাকা মোহাম্মদ আলামিনের ১৪ নম্বর জার্সি হাতে নিয়ে ছবি তোলেন একাদশের খেলোয়াড়েরা। গোল হজম বাদ দিলে সুযোগ সৃষ্টি ও বলের দখলে এগিয়ে ছিল সাইফই। বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমানের কারণে গোল পাওয়া হয়নি তাদের।

দুই কৌশলে খেলিয়েছেন তিনি। নিজেদের পায়ে বল থাকলে ৪–২–৩–১। বল হারালে ৪–৪–২। অর্থাৎ দুই স্ট্রাইকার দিয়ে রবসন ও জোনাথনের বল পাওয়ার উৎস বন্ধ করা। আজ রবসন ও জোনাথনের পায়ে বলও দেখা গিয়েছে কম। সুযোগ আসেনি ঝলক দেখানোরও। বারবার নিচে নেমে এসে বল নিতে হয়েছে তাঁদের।

তবে খেলা জানা থাকলে মাঠের যেকোনো প্রান্ত থেকেই খেলা যায়। মাঝমাঠ থেকে রবসনের দেওয়া থ্রুতেই তো সাইফে গোলপোস্টের তালা খুলেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার বেসেরা।

৫২ মিনিটে মাঝমাঠের ওপর থেকে বেসেরাকে উদ্দেশ করে রবসনের এরিয়াল থ্রু। সাইফ ডিফেন্ডার ও অধিনায়ক রিয়াদুল হাসান আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের সঙ্গেই দৌড়াচ্ছিলেন। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই বক্সের দুরূহ কোণ থেকে বেসেরার বাঁ পায়ের ভলি দূরের পোস্ট দিয়ে জালে।