টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ড

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই শিরোপাই এখন ইংল্যান্ডের ঘরে। লর্ডস থেকে মেলবোর্ন, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও শিরোপা জিতে সাদা বলের ক্রিকেটে যেন একচ্ছত্র রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করলো ইংল্যান্ড। ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে জস বাটলারের দল।

সমগ্র আসরেই দুর্দান্ত খেলেছে ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত সব ব্যাটসম্যানে সমৃদ্ধ দলটি প্রতিম্যাচেই ব্যাট হাতে রেখেছে কৃতিত্বের স্বাক্ষর। সেমিফাইনালে ভারতকে নিয়ে তো রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে তাদের দুই ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। রোহিত শর্মার চোখে অশ্রু ঝড়িয়েছে তাদের ব্যাটিং। তবে ফাইনালে ব্যাট হাতে খুব একটা মুনশিয়ানা দেখাতে পারেনি ইংল্যান্ড। হেলস মাঠ ছাড়েন মাত্র ১ রান করে। ১৭ বলে ২৬ রান করে আউট হন অধিনায়ক বাটলার। তবে বেন স্টোকসের ব্যাটে ভর করে সহজ জয় পায় ইংলিশরা।

ফাইনালে দলের জয়ে বিশেষ কোনো অবদান রাখতে না পারলেও ট্রফি জয়ে দারুণ খুশি ৬ বছর পর ফের দলে ডাক পাওয়া অ্যালেক্স হেলস।

তিনি বলেন,এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। অনেকটা বরফজমা কেক খাওয়ার মতো অনুভূতি এটা। পাক বোলিং আক্রমণ বেশ উন্নত মানের। ওই বলটা (যে বলে তিনি  আউট হন) বেশ ভালো ছিল, আমার পা সামনে চলে এসেছিল।

মাত্র ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সে সময়ে বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক ম্যাচের হাল ধরেন। ২৩ বলে ২০ রানের ইনিংসটার গুরুত্ব তাই খুব একটা কম নয়। তিনি বলেন,আমি সবসময় ভেবেছি এই দলটা নিয়েই আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারব। দিনটা সত্যিই অসাধারণ ছিল।

বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও মঈন আলির ১২ বলে ১৯ রানের ইনিংসটি দলের চাপ কমিয়েছে অনেকখানি। পাকিস্তানি বংশদ্ভুত এই ইংলিশ খেলোয়াড়ও অনেক আন্দিত শিরোপা হাতে পেয়ে। তিনি বলেন, আজ আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা দিন। একটি দুর্দান্ত দলের বিপক্ষে জয়টা সত্যিই আনন্দের ছিল।

বিশ্বকাপের মঞ্চে কয়েক ম্যাচে হারলেও দলের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস। তার মতে,বড় ম্যাচের চাপ ভালোভাবে সামলাতে পারায় জয়টা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন,অস্ট্রেলিয়ায় আমরা বেশ কয়েকটা ম্যাচ হেরেছি তবে শিরোপা অর্জন করতে পেরে বেশ খুশি। বোলারদের জন্য বেশ ভালোই ছিল উইকেটটা। বড় ম্যাচের চাপটাও আমাদের জিততে সাহায্য করেছে।