জাপানে সীমান্ত বন্ধ

জাপানে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (স্ট্রেইন) শনাক্ত হয়েছে গতকাল শনিবার। এরপর জাপান সরকার বিদেশ থেকে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু করে জানুয়ারি মাসের শেষ দিক পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
 
থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ানসহ ১০টি দেশ ও ভূখণ্ডের ব্যবসায়ী ও ছাত্ররা জাপানের নতুন নিষধাজ্ঞার আওতামুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
 
ভাইরাস সামাল দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়ে জাপানকে এখন আবার নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার বাইরে আর কী করা দরকার, তা এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি জাপান সরকার। নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো উপদেশ নিয়মিতভাবে দিচ্ছে সরকার। তবে অভিযোগ উঠেছে, সরকারের ভেতরেও অনেকে নিয়ম মানার দিকে খুব বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন না।
 
নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই ব্যক্তি এখন টোকিওর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে একজন হচ্ছেন উড়োজাহাজচালক। তিনি ১৬ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে টোকিও ফিরেছিলেন। তাঁর পরিবারের এক নারী সদস্যদের ক্ষেত্রেও নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে।
অবশ্য তাঁদের সবার বয়স ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত বয়সসীমা ৭০ বছরের কম। এর ঠিক পরপর সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞরা সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার জন্য সরকারকে সতর্ক করে দেন। তাঁদের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জাপান সরকার।
 
জাপানি নাগরিকদের পাশাপাশি জাপানে বসবাসের অনুমতি থাকা বিদেশিদের অবশ্য শর্ত সাপেক্ষে জাপানে ঢুকতে দেওয়া হবে। যুক্তরাজ্যে চিহ্নিত হওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে যেসব দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব দেশ থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের দেশত্যাগের আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ প্রমাণিত হওয়ার সনদ সঙ্গে রাখতে হবে। জাপানে পৌঁছানোর পর আবারও ভাইরাসের পরীক্ষা দিতে হবে। তবে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ানসহ ১০টি দেশ ও ভূখণ্ডের ব্যবসায়ী ও ছাত্ররা এ নিয়ন্ত্রণের আওতামুক্ত বিবেচিত হবেন।
 
করোনার টিকা কবে নাগাদ জাপানে এসে পৌঁছাবে, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি জাপান সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে যদিও বলা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের টিকা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে জাপানে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।