পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত চার দিনে ৫ লাখ ৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর বিপরীতে ভারত থেকে ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।
দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে বলে রোববার (৪ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা) মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ চার হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশে এসেছে ১৫ হাজার টন।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। নিজেরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন ইচ্ছামতো। ঈদুল আজহার একমাস আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম হয়ে যায় আকাশচুম্বী।
গত শনিবার পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকায় উঠেছিল। আড়াই মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর সোমবার (৫ জুন) দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার আইপিও দেওয়া শুরু হওয়ার পরপরই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমে যায়। তবে ওইদিন খুচরা বাজারে দামে কোনো প্রভাব পড়েনি।
বুধবার (৭ জুন) দেশের পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। এর প্রভাবে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দামও। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৪ টাকায়। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দাম কমার প্রবণতা অনেক ধীর।