পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও, অন্যান্য কেন্দ্রে উৎপাদন স্বাভাবিক থাকায় লোডশেডিং হবে না।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে যথেষ্ট জেনারেশন করার মতো পাওয়ার স্টেশন রিজার্ভ আছে। সেখান থেকে এই বিদ্যুৎটুকু অন্য পাওয়ার স্টেশনের মাধ্যমে উৎপাদন করে তারা চেষ্টা করবে লোডশেডিং যাতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়। ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। উৎপাদনে আসার পর এবারই প্রথম পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হতে যাচ্ছে কেন্দ্রেটিতে।

কয়লা সংকটে গত চার দিন ধরে পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে শুধু দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু রয়েছে। তবে সেটিও আর মাত্র কয়েক দিন চলবে। এরপর সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে পুরো বিদ্যুৎকেন্দ্র।

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, এটি একটি সাময়িক সংকট। জুনের ২৫ তারিখে কয়লার জাহাজ আসবে। এরপর আবারও বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে।

তথ্যমতে, গত ২৫ মে কয়লা সংকটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে, তা দিয়ে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাকি আরেকটি ইউনিট আগামী ৩ জুন পর্যন্ত চলতে পারবে। এরপর সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হতে চলেছে দেশের বৃহত্তম এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, দুই এক দিনের মধ্যেই এলসি খোলা হবে। কয়লা আমদানির পর জুনের শেষ সপ্তাহে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আশা করছেন তারা।