ইলিশা ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র
ভোলার ইলিশা কূপটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র ইলিশা-১-এর খনন কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ৯ মার্চ এবং শেষ হয় ১৪ এপ্রিল।
আজ সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রাজধানীর বারিধারায় তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভোলায় (শাহজাদপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা) মিলে ২.২৩ টিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে। সেখান থেকে প্রতিদিন উত্তোলন সক্ষম ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ভূতাত্ত্বিক তথ্য এবং ডিএসটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। দৈনিক গড় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় ওই কূপ থেকে ২৫-২৬ বছর গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে।
ইলিশা কূপে গ্যাসের উল্লিখিত মজুদ বিবেচনায় গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
এ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারের বিদ্যমান মূল্য হিসাবে ইলিশা গ্যাস ক্ষেত্রে গ্যাসের মজুদ (২০০ বিলিয়ন ঘনফুট) বিবেচনায় গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।