সিলেট সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী না হওয়ারও ঘোষণা দেন। গত দুটি সিটি নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়নে সিলেটে মেয়র নির্বাচিত হন।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটায় নগরের রেজিস্টারি মাঠে অনুষ্ঠিত নাগরিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মন্তব্য করেছেন, বর্তমানে সিলেট কিংবা সারা দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে। তিনি বলেন, ‘ভোট নিয়ে মানুষের আস্থা এমন তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে যে কোনো নির্বাচন হলেই মানুষ প্রথমেই সন্দেহ প্রকাশ করে বলে, ভোট দিনে দিতে পারবে নাকি আগের রাতেই শেষ হয়ে যাবে।’

এর আগে নগরের কুমারপাড়া এলাকার নিজ বাসভবন থেকে পদযাত্রা করে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে যান তিনি। মেয়রের সঙ্গে পদযাত্রায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষও অংশ নেন। মাজার জিয়ারত শেষে পদযাত্রা করে বেলা ৩টা ২২ মিনিটে তিনি রেজিস্টারি মাঠে পৌঁছান।

মেয়র আরিফুল হক বলেন, ‘ভোটাধিকার নিয়ে সাধারণ জনগণের মন থেকে আস্থা তো উঠেই গেছে, এমনকি আওয়ামী লীগসহ তাদের জোটের অনেক নেতাও এখন ভোটের অবস্থা দেখে আড়ালে-আবডালে নিজেরাই লজ্জা পান।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সিলেট সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ব্লুপ্রিন্ট রেডি হয়ে গেছে। কীভাবে ভোট ডাকাতি করা যায়, তার নীলনকশার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনে রদবদল সম্পন্ন হয়েছে।’

আরিফুল হক বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র কিনিনি, নির্বাচন করব নাকি করব না, সে সিদ্ধান্ত জানাইনি। কিন্তু তার আগেই আমার নেতা-কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীদের একের পর এক মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাসাবাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে, হুমকির পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এটাই কি তাদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশের নমুনা?’ তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।

ইভিএমের প্রতি মানুষের ন্যূনতম আস্থা নেই দাবি করে আরিফুল হক বলেন, ‘দেশে কোনো নির্বাচনের পরিবেশ নাই। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন ইভিএমকে “না” বলে দিয়েছে, বাংলাদেশের আপামর জনগণ যেখানে ইভিএমকে না করেছে, সেই জায়গায় সিলেটে তারা নিয়ে এসেছে ইভিএম। এটা কিসের ইঙ্গিত? এটা আরেকটা ভোট ডাকাতির ইঙ্গিত।’ তিনি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ‘আপনারা নিরপেক্ষভাবে সিলেটের যেকোনো স্থানে ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে জরিপ করে দেখুন। দেখবেন, ৯৯ ভাগ মানুষই বলবে তারা ইভিএম চায় না। ইভিএমের প্রতি তাদের আস্থা নেই।’