মাঝ পথেই কোহলির বিদায়
সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলে কোহলি বাড়ি ফিরে যাবেন, এ সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনাও কম হয়নি। ভারতের কিংবদন্তি ওপেনার সুনীল গাভাস্কারের মতো কারও কারও চোখে ব্যক্তিগত প্রয়োজনের চেয়ে দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এ জন্য কোহলির সমালোচনা তাঁরা করেছেন অনেক। আবার কারও চোখে ক্রিকেট দিন শেষে একটা খেলাই, সেটির চেয়ে সন্তানের জন্মের সময়ে পাশে থাকার মতো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ের দাবি অনেক বেশি।
কিন্তু দ্বিতীয় দিন শেষের ভারতের টেস্ট দল যদি হয় কয়েক শ নটিক্যাল মাইলে চলতে থাকা জাহাজ, অ্যাডিলেডে তৃতীয় দিন শেষে সেই জাহাজ ডুবন্ত। সিরিজের বাকি পথ কোহলিকে ছাড়া পাড়ি দিতে হওয়া ভারতের জন্য এই মুহূর্তে কষ্টকল্পনাই! তার ওপর রোহিত শর্মার চোট নিয়ে অনেক নাটকের পর তাঁকেও এই সিরিজের জন্য দেশে রেখে এসেছে ভারত।
তা কোহলির পিতৃত্বকালীন ছুটি যখন মঞ্জুর হয়েছে, তখন তো আর ভারতের এই অবস্থা ছিল না! তখন কে জানত, প্রথম টেস্টে এভাবে লজ্জার রেকর্ডের মুখোমুখি হবে ভারত! এমনকি অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষেও এমন কিছু কে কল্পনা করতে পেরেছিল! তখন তো প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিড নিয়ে ভারতই টেস্টে এগিয়ে ছিল।
তা অধিনায়ক বলেই কিনা, এখন যত দায় পড়ছে কোহলির ঘাড়েই। দিলীপ দোশির চোখে, কোহলির উচিত ছিল দলের এই অবস্থা দেখে ছুটি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যাওয়া। ‘আমার কাছে ভারতের অধিনায়কত্ব করাই আমার মনে সবচেয়ে গুরুত্ব নিয়ে থাকত। এই দলটা একটা ডুবন্ত জাহাজ। এই সময়টাতেই দলের তাদের অধিনায়ককে সবচেয়ে বেশি দরকার’, বলেছেন ভারতের হয়ে আশির দশকে ৩৩ টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে খেলা দোশি।