মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা
মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংস আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। অং সান সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বলেন, “বড় ধরনের গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হওয়ার সুযোগ ক্ষীণ হচ্ছে।“
মিয়ানমারেরর জান্তা সরকার নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব ও অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখতে জাতিসংঘের আহ্বান সমর্থন করেছে ১১৯টি দেশ। কেবল বেলারুশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহকারী বড় দুই দেশ রাশিয়া, চীনসহ ৩৬টি দেশ অনুপস্থিত ছিল।অনুপস্থিত থাকা কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ সংকট মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। অন্য দেশগুলো বলেছে, প্রস্তাবে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংস আচরণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহবন্দী রয়েছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও দেওয়া হয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে সহিংস আচরণ চালায় জান্তা সরকার।