গণহত্যার দায় স্বীকার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো
বৃহস্পতিবার রুয়ান্ডা সফরের সময় কিগালি জেনোসাইড মেমোরিয়ালে এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো রুয়ান্ডা গণহত্যায় ফ্রান্সের দায় রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডা গণহত্যা চালানো হয়। ওই ঘটনায় নিজ দেশের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চান।
১৯৯৪ সালে গৃহযুদ্ধে রুয়ান্ডার নৃতাত্ত্বিক তাতসি জনগোষ্ঠীর প্রায় আট লাখ মানুষ হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়। দেশটির প্রায় ৮৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী হুতু হলেও দীর্ঘদিন ধরে দেশটি শাসন করেছে তাতসিরা। ১৯৫৯ সালে হুতুরা তাতসি রাজতন্ত্র উৎখাতের পর লাখ লাখ তাতসি প্রতিবেশি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়।
তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবিয়ারিমানা এবং বুরুন্দির প্রেসিডেন্ট সিপ্রিয়ান নাতিয়ামিরাকে বহনকারী একটি বিমান ভূপাতিত করা হলে এর সব আরোহী নিহত হন। এই দুই প্রেসিডেন্টই ছিলেন হুতু জনগোষ্ঠীর। হুতু উগ্রবাদীরা এই ঘটনার জন্য আরপিএফকে দায়ী করে আর শুরু করে সংঘবদ্ধ হত্যাকাণ্ড।
গণহত্যা শুরুর পর নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে বিশেষ বাহিনী পাঠায় প্যারিস। তবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এই গণহত্যা ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি তারা। ওই গণহত্যায় বেঁচে যাওয়া সকলের কাছে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, তারা হয়তো আমাদের ক্ষমা উপহার দিতে পারেন।
গণহত্যার শিকার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সমাধিস্থল কিগালি জেনোসাইড মেমোরিয়ালে দাঁড়িয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেন, ‘আজ এখানে মানবতা এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমি আমাদের দায়িত্ব স্বীকার করে নিতে এসেছি।’ তিনি বলেন, গণহত্যার হুঁশিয়ারিতে কান দেয়নি প্যারিস।