এসআইকে বরখাস্ত
শনিবার তিনি নতুন কর্মস্থল সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় এক বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় বানিয়ে জেলে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়ারত হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রশান্ত হালদারের ভাষ্য, এসআই জিয়ারত হোসেন ডেমরাইল গ্রামের বাড়ি থেকে মনোরঞ্জন মণ্ডল ও তাঁর ছেলে সরোজিৎকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যান। বাবা-ছেলেকে তিনি কখনো তক্ষকের ব্যবসায়ী, কখনো মাদক ব্যবসায়ী, আবার কখনো জুয়াড়ি বলে দাবি করেন। এসআই মনোরঞ্জনকে ছেড়ে দেন। পরে একই গ্রামের দেবেন ও সুভাষকে হাতকড়া পরিয়ে সরোজিৎদের বাড়িতে নিয়ে যান এসআই জিয়ারত। এ সময় বেড়াতে আসা মনোরঞ্জনের বড় ছেলে স্বপন মণ্ডলের ভায়রা শ্যামনগর উপজেলার কাচড়াহাটি গ্রামের কমলেশ মণ্ডলকে (২৩) পাচারকারী বলে হাতকড়া পরান এসআই।
এসআই আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে চারজনকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। টাকা না পেয়ে দেবেন, সুভাষ, সরোজিৎ ও কমলেশকে এবং তাঁর (ইউপি সদস্য প্রশান্ত হালদার) ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যান। পরের দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেবেনের আত্মীয় নিখিল কয়ালের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা পেয়ে মোটরসাইকেলসহ দেবেন, সুভাষ ও সরোজিৎকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর কমলেশকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আর্থিক সুবিধা দিতে রাজি না হওয়ায় এক বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় বানিয়ে জেলে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়ারত হোসেনের বিরুদ্ধে। পরে তাঁকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। আজ শনিবার তিনি নতুন কর্মস্থল সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় যোগ দিয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই জিয়ারত হোসেন দাবি করেন, ভারতীয় নাগরিক হিসেবে কোনো কাগজপত্র না থাকলেও মুখের কথা অনুযায়ী কমলেশকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার পর তাঁকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমলেশ কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি।
এই ঘটনার পর তাঁকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে।