রাজা ফিরলেন বীরের বেশে
আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন এক বছরেরও বেশি সময় পর। ক্যামেরার লেন্স শুধু তাঁকেই খোঁজে। এত দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নেমেছেন, সবাই আশা নিয়ে তাকিয়ে তাঁর দিকে—এটা তো একটা চাপও! কিন্তু সাকিব আল হাসান যে অন্য ধাতুতে গড়। এই চাপ হয়তো উল্টো উপভোগই করছিলেন তিনি।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লের পর যখন বোলিংয়ে এলেন, তখন ক্রিজে অ্যান্ড্রু ম্যাকার্থি ও অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। দুজনই ডানহাতি। উইকেট দিয়ে নতুন শুরুটা রাঙানোর এমন সুযোগ হাতছাড়া করলেন না সাকিব। প্রথম ওভারেই সাইড স্পিন মেশানো একটি বল জেসন মোহাম্মদের ব্যাটের পাশ ঘেঁষে চলে যায় উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। মোস্তাফিজের তৈরি করা উইকেটের ক্ষতের সাহায্য ছিল অবশ্য। তবে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের মনে ভয় ঢোকানোর জন্য সেটিই ছিল যথেষ্ট।
তবে জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরেই উইকেট পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি সাকিবকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই আর্ম বলে বোল্ড করেন ম্যাকার্থিকে। জেসন মোহাম্মদের উইকেটও যে সাকিবই নিতে যাচ্ছেন, সেটিও আঁচ করা যাচ্ছিল। সাকিবের ঘূর্ণিতে একদমই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না ক্যারিবীয় অধিনায়ক। সাকিবের পঞ্চম ওভারে ঘূর্ণি আর বাউন্সে পরাস্ত হয়ে স্টাম্পড জেসন মোহাম্মদ। পরের ওভারে সাকিবের শিকার এনক্রুমা বোনার। তাঁর সেই চিরচেনা আর্মটি ঠিক বুঝতেই পারেননি সদ্য ক্রিজে আসা বোনার।
একের পর এক উইকেট নিতে থাকায় অধিনায়ক তামিমও সাকিবের বোলিং থামাতে চাইছিলেন না। প্রথম স্পেলে বল করিয়ে যান সাত ওভার পর্যন্ত। প্রথম স্পেলের বোলিং বিশ্লেষণটাই বলে দিচ্ছে এত দিন পর মাঠে ফিরেও সাকিবের বোলিং ঔজ্জ্বল্য হারায়নি এটুকু—৭-২-৮-৩।