গাইবান্ধায় পুলিশ-র্যাবের গাড়ি ভাঙচুর, ৫ জন আহত
গাইবান্ধা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোমরনই কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তিনটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানোসহ একটি লেগুনাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী (রেল ইঞ্জিন) প্রতীকের আনোয়ারুল সরোয়ার শাহিবের পক্ষের লোকজন এতে জড়িত। হামলার ঘটনায় পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াং অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গাইবান্ধা পৌর এলাকার কোমরনই কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী হামলা, ভাঙচুর ও ধাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলায় আহত পুলিশ ও র্যাব সদস্যকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, কোমরনই কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফল জেনেই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল সরোয়ার শাহিবের পক্ষের কর্মী-সমর্থক ও তার পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এসময় তারা পুলিশ ও র্যাবের ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করাসহ পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি লেগুনা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ ও র্যাবের সদস্যদের ওপরে হামলা চালায় তারা। একই সঙ্গে লেগুনার আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীকেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আহত করা হয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুঠোফোনে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম হামলা ও ভাঙচুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই ভোটকেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে কম ভোট পাওয়ায় স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোমরনই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও পুরো শহরজুড়েই আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। হামলা ও ভাচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে হামলা ও ভাঙচুর ঘটনার বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুল সারোয়ার শাহিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এমনকি তার মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। হামলার ঘটনায় মুখ খুলতে চায়নি তার কর্মী-সমর্থকরাও।