শিক্ষকদের প্রতিবাদ সমাবেশ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গৈয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম শামসুদ্দিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
অংশ নেয়া বক্তারা বলেন, “প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্তৃত্বে ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁদের অপতৎপরতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দেয় সরকার, সবকিছুর দায়িত্ব কেবল সরকারের। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি না থাকলেও চলে।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল, প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলায় জড়িত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে তাঁর পদ থেকে দ্রুত অপসারণ ও গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়।”
শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার দক্ষিণ গৈয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম শামসুদ্দিন বিদ্যালয়ের কক্ষে বসে উপবৃত্তির তালিকা প্রস্তুত করছিলেন। এ সময় বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. হান্নান খান এসে স্কুলের মূল ভবন থেকে পাশে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ঘরে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে বলেন। পরিত্যক্ত ঘরটিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির ভাই আবদুল হামিদ খান দখল করে রেখে সেখানেই থাকেন।
প্রধান শিক্ষক ওই কক্ষে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হান্নান খান প্রথমে প্রধান শিক্ষককে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে চেয়ার দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। এতে প্রধান শিক্ষক দুই হাত দিয়ে চেয়ারের আঘাত ঠেকাতে গেলে তাঁর বা হাতের আঙুল ও তালু থেঁতলে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়। এ ঘটনার পর একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জলিল হাওলাদারসহ স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তিনি এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসাধীন।