সিনেমার কাজে তৌকীর আহমেদ
গেল বছরের ১১ ডিসেম্বর রাজেন্দ্রপুরের নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে সেট বানিয়ে নতুন ছবি স্ফুলিঙ্গ’-এর শুটিং শুরু করেন তৌকীর আহমেদ। এ বছরের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে ছবির ৯৮ ভাগ কাজ শেষ করেছেন তিনি। আর মাত্র তিনটি দৃশ্যের শুটিং শেষ করতে পারলেই ছবির কাজ শেষ হবে। বাকি থাকবে সম্পাদনা ও আবহ সংগীতের কাজ।
অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক তৌকীর আহমেদ বলেন,” যাঁরা পরীক্ষিত অভিনয়শিল্পী, বরাবরই আমি তাঁদের নিয়ে শুটিং করি। এতে যেমন সময় কম লাগে, তেমনি ভালো অভিনয়ও পাওয়া যায়। দর্শকও কাজটি দেখে তৃপ্ত হন।” আগামী ২৬ মার্চ দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির লক্ষ্যে ছবিটি তৈরি হচ্ছে বলে জানালেন পরিচালক।
২৩ দিনে সিনেমার ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন তৌকীর। অল্প সময়ের মধ্যে ছবির এত কাজ কীভাবে করলেন, জানতে চাইলে তৌকীর বললেন, “আমার বেশির ভাগ সিনেমার শুটিং অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করেছি। এর মধ্যে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ২২ দিনে, ‘অজ্ঞাতনামা’ ১৫ দিনে, ‘রূপকথার গল্প’ ১৬ দিনে, ‘জয়যাত্রা’ ৩০ দিনে করেছি। আমি সব সময় শুটিং সময়টা কমিয়ে আনার চেষ্টা করি, তাতে বাজেট কম রাখা সম্ভব হয়। ছবির প্রিপ্রোডাকশন, প্ল্যানিং এমনভাবে করি, যাতে শুটিংয়ের সময় কম লাগে। তা ছাড়া আমি ভালো পারফর্মার নিয়েই কাজ করি।“
তৌকীরের নতুন ছবিতে মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত, আজাদ আবুল কালাম, রওনক হাসান, জাকিয়া বারী মম, ওবিদ রেহান, শ্যামল মাওলা, এ কে আজাদ সেতুর মতো শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। সব মিলিয়ে ছবিতে ৫০ জনের মতো অভিনয়শিল্পী কাজ করেছেন বলে জানালেন। প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই চমৎকার বলে জানালেন তৌকীর আহমেদ। বললেন, ‘সবাই খুবই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। নিজেও সিনসিয়ারলি কাজটা করার চেষ্টা করি, তাই সবাই কাজের মধ্যে অনেক বেশি ইনভলভ থাকে।’
রাজেন্দ্রপুরের নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট ছাড়াও ‘স্ফুলিঙ্গ’ ছবির শুটিং হয়েছে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কাপাসিয়া ও শীতলক্ষ্যা নদীর আশপাশে। তৌকীর বললেন, ‘আমরা যেহেতু কোভিড-১৯-এর মধ্যে কাজ করেছি, তাই লোকেশন নিয়েও প্ল্যানিং করতে হয়েছে বেশি। ইউনিট নিয়ে খুব বেশি ছোটাছুটি করতে সাহস পাইনি। আশপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কাজটা শেষ করার প্ল্যান করেছি, সেভাবেই কাজ করেছি।’