স্কুল ফাঁকি দিলে অভিভাবকদের জেলে যেতে হবে!
যদি কোনো শিক্ষার্থী ২০ দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, তাহলে সে বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউশন অফিস বিষয়টি তার অভিভাবকদের জানাবেন। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্তও করবে এই অফিস। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের গাফিলতি পাওয়া গেলে দপ্তর ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে পারবে। আদালত তদন্ত সাপেক্ষে অভিভাবকদের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিতে পারবেন।
কিছু শিক্ষার্থী কোনো কারণ ছাড়াই দিনের পর দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কারাগারে পাঠানো হবে। গত বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ধরনের ঘোষণা জারি করেছে। খবর মক্কা নিউজ।
অনুপস্থিতি দশদিনে গড়ালে তৃতীয় দফা সতর্কতা জারি করা হবে এবং অভিভাবকরেদেক স্কুলে তলব করা হবে। স্কুলে উপস্থিতির পর তাদের একটি অঙ্গীকার পত্রে সই করতে হবে। ১৫ দিন অনুপস্থিত থাকলে শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে অন্য স্কুলে স্থানান্তর করা হবে। আর অনুপস্থিতি ২০ দিন ছাড়িয়ে গেলে এ ব্যাপারে শিক্ষাবিভাগ শিশু সুরক্ষা আইনের বিধান প্রয়োগ করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণাালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী তিনদিন অনুপস্থিত থাকলে একটি প্রাথমিক সতর্কতা জারি করা হবে এবং তাকে একজন কাউন্সিলরের কাছে স্থানান্তর করা হবে। পাঁচদিন অনুপস্থিত থাকলে দ্বিতীয় দফায় সতর্কতা জারি করা হবে এবং অভিভাবককে এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে।
সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের হাজতবাসও করা লাগতে পারে। মূলত শিশুর যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবহেলার কারণে তাদেরকে এ শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে।