ড. ইউনূসকে ১০৬ শ্রমিককে লভ্যাংশ দিতে হবে

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর আদালত আদেশ দেন, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের কাছে পাওনা গ্রামীণ কল্যাণের ১০৬ শ্রমিককে বুঝিয়ে দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের আদেশ বহাল থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন।

এ নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে আগামী ১০ জুলাই।

আদালতে শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ। আর ড. ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।

এর আগে, (বুধবার ২১) সকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গঠন করা অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
গত ৬ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মধ্যদিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ওই আদেশ দেন।

মামলায় অপর তিন বিবাদী হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।