ডিআইজি এর ১৪ বছর কারাদণ্ড
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম রায় ঘোষণা করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার অপর তিন আসামি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, ডিআইজি মিজান মানি লন্ডারিং মামলায় ৫ বছর, তথ্য গোপনে ৩ বছর এবং জ্ঞাত আয়ে ৬ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন। মোট ১৪ বছর। যেহেতু সকল সাজা উনি একসাথে ভোগ করবেন, সে অনুযায়ী তার মোট সাজা ভোগ করতে হবে ৬ বছর।
অন্যদিকে মানি লন্ডারিংয়ে সহায়তা করায় তার ভাগ্নে, ভাই ও স্ত্রীর ৪ বছর এবং তথ্য গোপন করায় ৩ বছর, মোট ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে একসাথে সকল সাজা তারা ভোগ করবেন, ফলে তাদের মোট সাজা ভোগ করতে হবে ৪ বছর।
গত ৫ জুন একই আদালত উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ডিআইজি মিজান কারাগারে আটক রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন মাহবুবুর রহমান ও মাহমুদুল হাসান। সোহেলিয়া আনার রত্না শুরু থেকে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
এ মামলায় ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করেন আদালত।