আওয়ামী লীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
শনিবার বিকেলে চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গমচর বাহাদুরপুর এলাকায় মাথাভাঙা হাইস্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তার এ সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগ দিতে আসার পথে মায়া চৌধুরীর প্রতিপক্ষরা হামলা করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু (৪৮)। এ ঘটনায় তার ছেলে ইমরান (১৮) গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত বাবুর স্বজনদের অভিযোগ, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজান ও তার ছোটভাই কাজী মতিন এ হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তারা জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
নিহতের ছোটভাই যুবলীগ নেতা আমির হোসেন কালু জানান, পরিকল্পিতভাবে তার ভাই মোবারক হোসেন বাবুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইমরানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. হাসিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রক্তাক্ত জখম হওয়ার কারণে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে জসিম নামে আরেকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গুলির ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
অন্যদিকে প্রতিবাদ সমাবেশ অসমাপ্ত করেই মায়া চৌধুরী হাসপাতালে ছুটে যান। এ সময় তিনি এ ঘটনার জন্য কাজী মিজান, কাজী মতিনসহ তাদের সহযোগীদের দায়ী করেন। এ ঘটনার বিচারও দাবি করেন তিনি।