বেড়েছে জিরার দাম
দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। তবে বেড়েছে জিরার দাম। প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১০ থেকে ১২ টাকা কমেছে। আর ভারত থেকে আমদানিকৃত জিরা প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮১০ টাকায়। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে জিরার দাম বেড়েছে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ফলে কমেছে পেঁয়াজের দাম।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ এবং মসলা কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, কয়েক দিন আগে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা কেজি ছিল। বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসায় তা ৩০ টাকায় নেমেছে। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের মসলার দাম। কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে জিরার দাম। খুব দ্রুত বাজার মনিটরিং-এর দরকার বলে জানান তিনি।
হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা বলেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি করতে বেশি টাকার প্রয়োজন হচ্ছে। যার জন্য আমদানিকারকরা বেশি দামে আমাদের কাছে বিক্রি করছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে প্রতি কেজি জিরা ৮১০ টাকায়, সাদা এলাচ ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা, ধনিয়া ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে ২৫ থেকে ২৮ টাকা দরে খুচরাতে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে ভারত থেকে ২৪৫ ট্রাকে ৬ হাজার ৮৮৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ভারতীয় ২৩ ট্রাকে ৭১৩ মেট্রিকটন জিরা আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।