দেশব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে আগামী রোববার (১৮ জুন)। এদিন ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, জাতিসংঘের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. জার্দান জাং রানা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ মালেক বলেন, রোববার (১৮ জুন) সারা দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করা হবে। দেশে বর্তমানে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করে। পরবর্তীতে বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা (০.০৪%) প্রায় নাই বললেই চলে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না, ৬ মাসের কম, ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ পাস ক্যাম্পেইন চলাকালে যাতে কোনো মহল নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে এ কার্যক্রমকে ব্যহত করতে না পারে, সেজন্য সব কর্মী এবং সাংবাদিকদের জনগণের পাশে থেকে মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।