বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি সংকটে রয়েছে
মঙ্গলবার (৬ জুন) প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি সংকটে রয়েছে। এর ফলে শিল্প উৎপাদন ও পরিষেবায় বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি সংকটে রয়েছে এবং কয়েক মাস ধরে আমদানির ওপর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে। এসব কারণে দেশের শিল্প উৎপাদন এবং পরিষেবা খাত বড় ধরনের চাপে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য ব্যাহত হওয়া ও বিনিময় হারের চাপ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। এর ফলে এসব দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এসব দেশে আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে।
উচ্চ মাত্রায় খেলাপি ঋণ, পুঁজির ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের দুর্বলতার কারণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশের আর্থিক খাতে উচ্চ ঝুঁকি রয়ে গেছে। এসব দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। বিশেষ করে সম্প্রতি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশে করপোরেট খাতে সুশাসনের দুর্বলতা ও পুঁজির সংকটও আর্থিক খাতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। এ ছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশি পরিমাণে সরকারি ও বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং আর্থসামাজিক উত্তেজনা প্রভৃতি কারণে এ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে আর্থিক সংকটের ঝুঁকি বাড়ছে। এসব সংকট শেষ পর্যন্ত দেশের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে বলে।