যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে বাজেটে
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন শুরু অর্থমন্ত্রী। আলোচনা শেষে আগামী ২৬ জুন বাজেট পাস হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট, দেশে তৈরি মোবাইল ফোন, সাবান ও প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে আগামী ২৬ জুন। এর আগে ২৫ জুন ২৩-২৪ অর্থবছরের অর্থবিল পাস করা হবে। বাজেট কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।
প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট ও তামাক পণ্যের শুল্ক বাড়ছে। তরল নিকোটিনের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব এসেছে। এ ছাড়া ই-সিগারেট ও ভেপ ও এর যন্ত্রাংশ আমদানিতে ২১২ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি বল পয়েন্ট কলমে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, সফটওয়্যারের উৎপাদন পর্যায়ে ও কাস্টমাইজেশন সেবার উপর ৫ শতাংশ, সফটওয়্যার আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ ও ভ্যাট ১৫ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের পণ্য (টিফিন বক্স ও পানির বোতল ব্যতীত), এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির স্টিল, প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেমযুক্ত সানগ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কিচেন বা অন্যান্য গৃহস্থালি তৈজসপত্র, স্যানিটারিওয়্যার এবং যন্ত্রাংশের মূসক হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া একাধিক গাড়ির ক্ষেত্রে সিসি বা কিলোওয়াটভিত্তিক পরিবেশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জমি নিবন্ধনে উৎস কর বাড়ছে। শুধু তাই নয়, বিদেশ ভ্রমণ কমিয়ে আনতে ভ্রমণ কর বাড়ছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিমান ভ্রমণেও করহার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া টিস্যু জাতীয় পণ্যের ভ্যাট ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানি করা সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডারের রেগুলেটরি ডিউটি ৩ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে বাজেটে।
এদিন সংসদে খোসা ছাড়ানো কাজুবাদামের করভার ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। একইসঙ্গে নন ফর্টিফায়েড বাসমতি চাল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত ফল আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। সব ধরনের খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব এসেছে।
দাম বাড়ছে দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের। স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ০ (শূন্য) শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ, সংযোজন পর্যায়ে যথাক্রমে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
লিফটের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এস্কেলেটরের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমদানি করা সিমেন্ট ক্লিংকারের প্রতি টনের স্পেসিফিক রেট অব ডিউটি ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা করা হচ্ছে।