মূল্য নির্ধারণ অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণে নাই সরকারের
নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে বড় শিল্পগ্রুপ ও আমদানি কারকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, পেঁয়াজ, আদা, চিনি নিয়ে কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, পাঁচ থেকে ছয়টি শিল্পগ্রুপ নিত্যপণ্যের বাজার প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছে। এদের বিরুদ্ধে নজরদারি চলছে। কারসাজির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এ পর্যন্ত ৫৪টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই করপোরেট প্রতিষ্ঠান।
দফায় দফায় বৈঠক, মূল্য নির্ধারণ এমনকি অভিযান চালিয়েও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। দফায় দফায় লাফিয়ে বাড়ছে কয়েকটি পণ্যের দাম।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, মাসের ব্যবধানে ৫০ টাকা কেজির পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ৭৯ শতাংশ দাম বেড়ে আমদানি করা আদার কেজি সাড়ে ৪০০ টাকা। এছাড়া রসুন ও চিনির বাজারও বেশ চড়া।
এর বাইরেও তিনি বলেন, ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় ঈদুল আযহায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি প্রতিটি জেলা শহরের পশুর হাটে ভোক্তা অধিদফতরের অফিসাররা অভিযান পরিচালনা করবে। পশুদের কী খাওয়ানো হচ্ছে তা নজরে রাখবে তারা।
তবে নিজেদের স্বার্থরক্ষায় ভোক্তাদেরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
শনিবার (২৭ মে) রাজধানীতে ‘ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার সুফল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।