স্বেচ্ছায় বিশ্রামে আফিফ
গণমাধ্যমে বরাবরই গুঞ্জন, ওপরের দিকে ব্যাট করতে আগ্রহী আফিফ হোসেন ধ্রুব। আর এ কারণেই মূলত জাতীয় দলে জায়গা হারিয়েছেন।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে (ডিপিএল) পুরোটা সময় খেলার সুযোগ পান আফিফ। আর দলকে ২২তম শিরোপা ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি। ডিপিএলে ৫৫ গড় ও ১১০ স্ট্রাইক রেটে ১৩ ইনিংসে ৫৫০ রান করেন মিডল-অর্ডার এ ব্যাটার।
এরপর ডিপিএলে রোমাঞ্চ জাগানিয়া পারফরম্যান্সের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে আন-অফিসিয়াল টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কত্ব পান তিনি। টেস্ট দলে অভিষেক না হওয়া আফিফের টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়া নিয়ে সে সময় প্রশ্নও জাগে। এমন প্রশ্ন অনেকটা অনুমেয়ও ছিল। তবে বিপত্তিটা বেঁধেছে আন-অফিসিয়াল টেস্টের তৃতীয় ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণার পরপরই। তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করলেও শেষ ম্যাচের স্কোয়াডেই নেই আফিফের নাম!
এরপরই গুঞ্জন, জাতীয় দলের পর ‘এ’ দল থেকেও বাদ আফিফ!
গুঞ্জন উঠার অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কারণ, ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৪ ইনিংসে ব্যাট করেছেন মিডল-অর্ডার এ ব্যাটার। ৪৫, ৯, ৩৭ ও ৪ রানেই থেমেছে তার ইনিংসগুলো। কিছুটা আগ্রাসী নৈপুণ্যে ইনিংস সাজালেও, তা বড় করতে পারেননি তরুণ এ ব্যাটার।
আর সিরিজের প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছে আফিফ হোসেনের দল। এ যাত্রায় অধিনায়ক হিসেবেও ব্যর্থ তিনি।
এবার ‘এ’ দল থেকেও কি বাদ পড়লেন আফিফ! যদিও এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য জানায়নি বিসিবি। তবে সূত্র বলছে ভিন্ন কথা।
প্রথম দুই ম্যাচে খেলে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন আফিফ। এজন্য সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে খেলবেন না জানিয়ে ছুটি চেয়েছিলেন, ২৩ বছর বয়সী বাঁ-হাতি এ ব্যাটার। আর টিম ম্যানেজমেন্টও তেমনটাই করেছে। সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বেচ্ছায় আফিফকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এক কথায়, অনেকটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।