ইসি রাশেদা গাজীপুরে

বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গাজীপুরের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। ইতোমধ্যে ভোটের প্রচারণা শেষ হয়েছে। এমন অবস্থায় নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করতে গাজীপুর যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

বুধবার (২৪ মে) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ায় কথা রয়েছে তারা।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কঠোর অবস্থানে ইসি। নির্বাচন ঘিরে শুরুর দিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মন্ত্রী, এমপিদের সতর্ক করা এবং নৌকার প্রার্থীকে তলবের মধ্য দিয়ে তা সামলে নিয়েছে। তবে, স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রচারে বাধা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো। ভোটের দিন ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত এ পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশা করি। নির্বাচন পরিস্থিতি কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা করা হলেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হতে ৫৭টি ওয়ার্ডে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে ৭৬ জন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে। এ ছাড়া বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন টিম মাঠে থাকবে।

গাজীপুর নিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬৯৯৪ জন।

উল্লেখ্য, গাজীপুর নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ৪৮০টি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। প্রতি কেন্দ্রে রয়েছে সিসি ক্যামেরা।