হত্যার আশঙ্কা ইমরান খানের
গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। আর গত বছরের নভেম্বরে হত্যার উদ্দেশ্যে ইমরান খানের ওপর হামলা হয়। এ হামলার পেছনে একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান। তবে সবাই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
হয়তোবা তাই, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁকে কারাগারে ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগের (স্লো পয়জনিং) মাধ্যমে হত্যা করা হতে পারে।
গতকাল বুধবার ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনসে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত বিশেষ আদালতে (অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্ট) ইমরান খান তাঁর এই আশঙ্কার কথা বলেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান আদালতকে বলেন, কর্তৃপক্ষ এমন একটি ইনজেকশন দেয়, যাতে ব্যক্তি ধীরে ধীরে মারা যায়।
ব্যক্তিগত চিকিৎসক ফয়সাল সুলতানের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে চান বলে আদালতকে জানান ইমরান খান।
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্ট চত্বর থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল তাঁকে ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনসে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের রিমান্ড চায় জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো—এনএবি)। আদালত তাঁর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।