আগুন থেকে বাঁচতে ৭ তলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন!

ভবনে আগুন ধরার পর নিজেদের ১২ তলার বাসা থেকে শ্বাশুড়ি ও সন্তানদের লিফটে আগে নিচে নামিয়ে দেন তিনি। এরপর ঘরের গৃহকর্মীসহ নিজে নামতে চাইছিলেন। কিন্তু লিফট আটকা পড়ে ৭ তলায়। কোনোক্রমে লিফট খুলে বাইরে বের হতে পারলেও ততক্ষণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আগুন ধরে গেছে তার কাপড়েও। আর নিচে নামার কোনো উপায় না দেখে কোনোমতে ৭ তলার ব্যালকনিতে গিয়ে সেখান থেকে লাফ দেন ভবনের নিচের সুইমিংপুলে।

গুলশান-২ এলাকার ১০৪ নম্বর রোডের ১২তলা ভবনটির সপ্তম তলায় রোববার সন্ধ্যায় আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। রাত ১১টার দিকে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বাহিনীর ১৯টি ইউনিট। অবশ্য সোমবার ভোরেও ভবনটি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বেলা ১১টা পর্যন্ত সেখানে তৎপর ছিলেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পরে ফ্ল্যাট মালিকরা ভেতরে ঢোকেন।

এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এরা হলেন আনোয়ার হোসেন ও রাজু। তবে ২২ জনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস।

সেখান থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এই আহত নারী হলেন শামা রহমান সিনহা। তিনি বিসিবির পরিচালক ফাহিম সিনহার স্ত্রী।

শামাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসায় ১৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি জানান, পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি লাফ দেয়ার কারণে তিনি কিছু আঘাতও পেয়েছেন।

শামার পাশাপাশি এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও দুজনকে। জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন রওশন আলী (৩০) ও মুসা শিকদার (৩৩) নামে ওই দুজন। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।