ভুল চিকিৎসার শিকার হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সোহেল রানা
ভুল চিকিৎসায় চোখ-সংক্রান্ত জটিলতায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা ও প্রযোজক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন তার চোখে ভুল চিকিৎসা হয়েছে।
তার কথায়, ‘আমি কখনও অন্যের ক্ষতি করিনি, আর করার চেষ্টাও করিনি। কিন্তু আমার সঙ্গেই এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা এমন বড় একটি অপরাধ করল।’
সোহেল রানা বলেন,‘এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছি। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলছি। নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছি। তাদের সুন্দর ও সঠিক চিকিৎসায় চোখটা বেঁচে গেছে। তিন মাস পর আবার যেতে হবে।’
ভুল চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, সেখানকার ডাক্তাররা প্রথমে দেশের সব রিপোর্ট দেখেছেন। শুরুতেই এতগুলো টেস্ট করার কোনো প্রয়োজন ছিল না বলে দাবি করেন তারা।
সোহেল রানা বলেন, এরপর তারা জানান, আমার চিকিৎসা ভুল হয়েছে। সবচেয়ে বড় কষ্টের জায়গা, আমি দেশের মানুষের কাছে কিছুটা হলেও তো পরিচিত। যে ডাক্তার আমার চোখের চিকিৎসা করেছেন, তিনি তো আমাকে চেনেন। তিনি যখন ক্যাটারাক্ট সার্জারি শেষ করলেন, সেখানে লেন্স না বসিয়ে চোখটি ব্যান্ডেজ মুড়িয়ে আটকে দিলেন। আমার সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে বলে এটি প্রকাশ্যে এসেছে। এমন আর কত ঘটনা আছে, যেগুলো তারাই জানেন।
হাসপাতাল আর ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, এদের বিরুদ্ধে কথা না বললে তারা তো আরও মাথায় উঠে যাবে। একজন ডাক্তারের কাছে মানুষ কখন যায়, নিরুপায় বা সমস্যায় পড়ে, তাই তো। কিন্তু সেই ডাক্তার যদি এমন হয়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে। সমস্যার সমাধান না করে উল্টো আরও সমস্যা তৈরির জন্য কি মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়? আসলে আমার মনে হয়, তাদের কোনো জবাবদিহির জায়গা নেই বা তাদের বিচার করার কেউ নেই! যদি থাকত তাহলে তারা এমন কাজ করতে পারত না। এভারকেয়ারের মতো এমন একটি হাসপাতাল থেকে আমরা এটি আশা করিনি। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে থেকে কাগজপত্র নিয়ে এসেছি। আরও কিছু কাগজের অপেক্ষায় আছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এরপর কথা বলব আইনের মাধ্যমে। যে দেশের জন্য জীবনবাজি রেখেছিলাম, সেই দেশের মানুষরূপী কিছু অসাধু মানুষ জীবন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি আমার শিল্পী সমাজকেও বিষয়টি জানিয়েছি; এবার দেখা যাক। এই ঘটনার পর আমি মানসিকভাবে ভালো নেই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।