বিশাল অঙ্কের জরিমানার মুখে গুগল

যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি রাজ্যে অবস্থান ট্র্যাকিং সংক্রান্ত মামলায় ৩৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার জরিমানার মুখে অ্যালফাবেট মালিকানাধীন টেক জায়ান্ট গুগল। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে ব্যবহারকারীদের অবস্থান শনাক্ত করার কারণে এ জরিমানা করা হয়েছে গুগলকে।

সার্চ ইঞ্জিন গুগলের বিপক্ষে তদন্ত ও নিষ্পত্তির মামলাটি পরিচালিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন ও নেব্রাস্কা রাজ্যের নেতৃত্বে। সাম্প্রতি ব্যবহারকারীদের অবস্থান ট্র্যাকিংয়ের বিষয়টি বিভিন্ন রাজ্যের রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নিদের নজরে আসায় টেক জায়ান্টটি একের পর এক মামলার মুখে পড়েছে।

আইওয়া অঙ্গরাজ্যর অ্যাটর্নি জেনারেল টম মিলার এক বিবৃতিতে জানান, একজন ব্যবহারকারী যখন তার ডিভাইসে অবস্থানের তথ্য গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তখন তাদের আস্থা থাকা উচিত যে গুগোল আর তাদের পদক্ষেপ নজরদারি করবে না।

গুগলের মুখপাত্র জোসে কাস্তানেদা বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা আমাদের প্রডাক্ট পলিসিতে যেসব পরিবর্তন করেছি সেগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা এ তদন্ত নিষ্পত্তি করেছি।

ব্যবহারকারীদের অবস্থান ট্র্যাকিংয়ের অনুমতি না দেয়া সত্ত্বেও গুগল অবৈধভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে এমন একটি অভিযোগের তদন্ত ২০১৮ সালে শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নি জেনারেলগণ। তদন্তে উঠে আসে, গুগল ২০১৪ সাল থেকে ব্যবহারকারীদের বিনা অনুমতিতে অবস্থান ট্র্যাকিং করছে, যা রাষ্ট্রীয় ভোক্তানিরাপত্তা আইনের পরিপন্থী।

অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ গুগলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল, যা গত অক্টোবর মাসে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নিষ্পত্তি হয়েছিল। টেক্সাস, ইন্ডিয়ানা, ওয়াশিংটন ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াও এ বছরের জানুয়ারিতে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় গুগলের অবস্থান ট্র্যাকিংকে প্রতারণামূলক কর্মকান্ডকে বলে আখ্যায়িত করা হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিজ্ঞাপন থেকে গুগল ১১ হাজার ১০০ কোটি ডলার আয় করেছে, যা অনলাইন বিজ্ঞাপনের অন্য যেকোনো কম্পানির থেকে বেশি। বিজ্ঞাপনকে আরো প্রাসঙ্গিক করতে এবং ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষণ করতে ভোক্তার অবস্থান জানা গুরুত্বপূর্ণ। গুগল এ ট্র্যাকিং টুলটি ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের পছন্দসই ক্রেতা বাছাইয়ে সহযোগিতা করে।