ফুলকপির উপকারিতা ও পুষ্টিগুন

শীতকালীন সবজি ফুলকপি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি পুষ্টিকরও। কেবল তরকারি নয়, পাকোড়া, নুডলস, পাস্তাসহ বিভিন্ন খাবারে এটি ব্যবহার করা হয়। ফুলকপির স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে অনেক। আর তাই, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই সবজি।

ফুলকপিতে থাকে উপকারী যৌগ কোলাইন। এটি একটি বি ভিটামিন, যা মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় ফুলকপি খেলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের গঠনে তা সাহায্য করে।

ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকে গ্লুকোসাইনোলেটস, যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।

ভিটামিন সি, বিটাক্যারোটিন, কায়েম্ফেরোল, কোয়ারসেটিন, রুটিন, সিনামিক এসিডের মতো উপকারী সব উপাদান রয়েছে ফুলকপিতে। এই উপাদানগুলো ত্বককে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। ফলে, ত্বকে লাবণ্য বজায় থাকে অনেকদিন।

ফুলকপিতে থাকা সালফারের যৌগ সালফোরাফেন রক্তচাপ উন্নতিতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুযায়ী, সালফোরাফেন ডিএনএ এর মিথাইলেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়, বিশেষ করে ধমনীর ভেতরের প্রাচীরের। এছাড়া এই উপাদানটি ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে। এটি টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

ফাইবারের গুরুত্বপূর্ণ উৎস ফুলকপি। এটি হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। ফুলকপি পাকস্থলীর প্রাচীরের সুরক্ষায় সাহায্য করে।

তবে মাত্রাতিরিক্ত ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে, যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাদের থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে না আসা অব্দি খাদ্যতালিকা থেকে ফুলকপি বাদ দেওয়াই ভালো। আবার অতিরিক্ত ফুলকপি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও হতে পারে।