বিএনপির মুখে মানবতার কথা মানায় না: জাহাঙ্গীর কবির নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মানুষ পুড়িয়ে মারার দল বিএনপির মুখে মানবতার কথা মানায় না। আন্দোলনের নামে বিএনপি বাসের নিরীহ যাত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। এখন তারাই বলছে মানবতার কথা। এটি মনে হয় ভূতের মুখে রাম নাম।

‘এ সরকারের মানবিকা বলতে কিছু নেই’– বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে, যাদের প্রতিষ্ঠাতা সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান এবং যারা ক্ষমতায় এসে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াতকে নিয়ে এই দেশে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুন্নত মানুষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে–আমার মনে হয়, তাদের মানবতার শিক্ষা নেয়া দরকার। যে মানবতা তারা লঙ্ঘন করেছে, তার জন্য তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

১৫ই নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনসহ মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির পক্ষ থেকে পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ১১টি উপকমিটি গঠন করা হয়। জাহাঙ্গীর কবির নানককে আহ্বায়ক ও মির্জা আজমকে সদস্যসচিব করে মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগ এবং ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি নেতারা দাবি করেন–এ নির্বাচন তাদের কাছে মুখ্য নয়, সরকারের পতনই তাদের মূল লক্ষ্য–এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে নানক জানান, ‘আসলে বিএনপি  ২০০৮ সাল থেকেই এই কথা বলছে। তারা যে শব্দবোমা নিক্ষেপ করছে। এই শব্দবোমায় আমরা আতঙ্কিত নই। তবে তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। তিনি করোনা মহামারি মোকাবিলা করে সফল হয়েছেন। তেমনিভাবে এই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কাজেই সেই মুহূর্তে জনগণের মধ্যে কোনো আতঙ্ক না ছড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির সদস্যসচিব এবং আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম প্রমুখ।