আফগানিস্তানে পূর্ণ শরিয়া আইন জারি করল তালেবান
আফগানিস্তানের বিচার ব্যবস্থায় পূর্ণ শরিয়া আইন প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। ১৩ই নভেম্বর রোববার এক টুইট করে এ তথ্য জানিয়েছেন তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
শরিয়া আইনে উল্লেখযোগ্য শাস্তির মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, পাথর নিক্ষেপে হত্যা, চাবুক মারা এবং চোরের হাতের কব্জি কাটার মতো বিধান।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান,আখুন্দজাদা আদেশ দিয়েছেন চুরি, অপহরণ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাগুলো সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করতে হবে। এসব মামলায় অপরাধ (হুদুদ এবং কিসাস) বিবেচনা করে ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী বিচার করতে হবে। তালেবানের উচ্চপদস্থ নেতাদের একটি বৈঠকের পর আখুন্দজাদা এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী হুদুদ ও কিসাস নামে দুই ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। হুদুদ দ্বারা সেসব অপরাধকে বোঝায়,যেগুলোতে শরিয়া অনুযায়ী নির্দিষ্ট সাজা দেয়া বাধ্যতামূলক। হুদুদের মধ্যে রয়েছে ব্যভিচার, মদ্যপান, চুরি, অপহরণ, ডাকাতি, ধর্মত্যাগ এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো অপরাধ।
অন্যদিকে কিসাস বলতে বোঝায় বদলা নেয়ার বিষয়টি (চোখের বদলে চোখ)। কিসাসের অন্তর্ভুক্ত হল হত্যা এবং ইচ্ছাকৃত আঘাতের মতো অপরাধসমুহ। কিসাসভুক্ত অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলে ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে অপরাধীকে মাফ করে দিতে পারে।
তালেবান ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আশরাফ গনি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে । এর আগেও ১৯৯৬ ক্ষমতা দখল করে দেশটিতে শাসন চালিয়েছিল ধর্মীয় গোষ্ঠীটি।