নাটোরে স্কুলশিক্ষার্থীদের পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ !
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ।আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবদুর রউফ। বেত্রাঘাতের শিকার হয়েছে বিদ্যালয়টির নবম শ্রেণির অন্তত ১০ শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে বেত্রাঘাতের শিকার শিক্ষার্থীরাসহ অন্য শিক্ষার্থীরা মিলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ওই শিক্ষক নিজেও বেত্রাঘাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী আবদুল মমিন, সোহাগ আলী ও তন্ময় , এত বছরের পুরোনো ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করত তারা। বৃষ্টি শুরু হলেই ভবনটিতে পানি পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বিদ্যালয়ের পুরোনো আসবাব নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে নেওয়া হচ্ছিল। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তাদের পাঠদান করানো হোক। এ দাবির কথা জানানোয় শিক্ষক আবদুর রউফ শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ১০ শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেন। এতে তাদের হাত, পিঠ ও কোমরের নিচে জখম হয়। বিষয়টি অন্য শিক্ষকদের জানিয়েও প্রতিকার না পাওয়ায় বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরাসহ মিছিল করে তারা।
বেত্রাঘাতের কথা স্বীকার করে শিক্ষক আবদুর রউফ বলেন, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে তাদের শ্রেণিকক্ষটি দখলের চেষ্টা করেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই বেতের ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দুই দিন ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত তিনি। তবে বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। আগামীকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয়ে বেত্রাঘাতের নিয়ম নেই। ছাত্র বা অভিভাবকদের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।