জাতিসংঘের দপ্তরে হামলায় পুলিশ সদস্য নিহত
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরে জাতিসংঘের দপ্তরে হামলা করা হয়েছে। হামলায় ১ জন পুলিশ সদস্য নিহত ও নিরাপত্তার বাহিনীর কয়েকজন আহত হয়েছে। তালেবান সদস্যরা জাতিসংঘের দপ্তরে হামলা চালায় বলে দাবি জাতিসংঘ মিশনের কর্মকর্তাদের।
তালেবানকে একঘরে করে দেওয়া হবে, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তার এমন বক্তব্যের পর এই হামলা করা হল।তবে তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, এই হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। তবে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে
জাতিসংঘ এই হামলার নিন্দা করেছে এবং হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র এরি কানকো।জাতিসংঘ বলছে, হামলার ঘটনা কারা ঘটিয়েছে শিগগির তা শনাক্ত করা হবে এবং হামলায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
এদিকে আফগানিস্তানে অবস্থানরত জাতিসংঘের কর্মীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দিনভর হেরাতে সরকারি সৈন্য ও তালেবানের মধ্যে তুমুল লড়াই হয় এবং বিকেলে জাতিসংঘের দপ্তর হামলার শিকার হয়।হামলায় ১ জন পুলিশ সদস্য নিহত ও নিরাপত্তার বাহিনীর কয়েকজন আহত হয়েছে তবে হামলায় জাতিসংঘের কোনো কর্মচারী নিহত বা আহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি। তার দাবি, হামলায় গ্রেনেড ও বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ডেবোরাহ লিয়ন্স বলছেন, জাতিসংঘের বিরুদ্ধে হামলা খবুই দুঃখজনক এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।আমরা প্রথম নিহত কর্মকর্তার পরিবারের দিকে নজর দিচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাতিসংঘ কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করা যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং এটা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেকে জাতিসংঘ অফিসে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং এ হামলার জন্য তালেবান দায়ী
করেন।
জাতিসংঘের আফগান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি দিবরা লিওন এ হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যায়িত করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ হামলা তাদের প্রতিশ্রুতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী কাজ। হামলার ঘটনায় হেরাত বিমানবন্দর থেকে সকল ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।