ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সতর্ক অবস্থানে পুলিশ,ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ
রাত পোহালেই কোপা আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ফাইনাল খেলা। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ফাইনাল খেলা ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাইকিং করেছে জেলা পুলিশ।
আগামী ১১ জুলাই আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল, এ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে কোপা আমেরিকা ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত খেলাটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। এমতাবস্থায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় উন্মুক্ত স্থানে, হাটবাজারে, রাস্তার মোড়ে, হোটেল-রেস্টুরেন্টে, চায়ের দোকানে, বাড়িঘরে, পাড়া-মহল্লায় বন্ধুবান্ধব একত্রিত হয়ে গণজমায়েত করে ফুটবল খেলা দেখতে পারবেন না।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় রিকশায় করে এই মাইকিং করেন মেড্ডা এলাকার আলী মিয়া। বিকেল চারটার দিকে হাসপাতাল রোড এলাকায় মাইকিংয়ের সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, সদর থানা–পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক এই মাইকিং করার জন্য তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে নিজ নিজ বাসায় বসে খেলা দেখতে অনুরোধ করা হলো। খেলা শেষে কোনো প্রকার আনন্দ মিছিল, পটকা-আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষেধ।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ জেলার নয়টি উপজেলার প্রতিটি থানা–পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ফুটবল খেলা নিয়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাইকিং করান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা জিপ গাড়িতে এবং থানার পক্ষ থেকে রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মাধ্যমে মাইকিং করানো হয়। শনিবার দিনভর জেলার ১১৬টি বিটে মাইকিং করানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১১ জুলাই ভোর ৬টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনাল খেলা ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে ১১৬টি বিট পুলিশের দল মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি বিটে একজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও দুজন কনস্টেবল আছেন। এ ছাড়া শনিবার ভোররাতে পুলিশের আরও ৪০টি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করা হবে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার দামচাইল বাজারে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ব্রাজিলের এক সমর্থকের চাচা নওয়াব মিয়া (৬০) আহত হন। এর জেরে ওই দিনই রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাল্টা হামলায় আর্জেন্টিনার তিন সমর্থক জাকির মিয়া (৩২), সেলিম মিয়া (৪৫) ও সৈয়দাবুর রহমান (৩৫) আহত হন।