ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
শনিবারের সকালে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপ।মার্কিন ভূ-গবেষণা সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.১।শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর একটি হোটেল সহ একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। একশটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্ততপক্ষে ৩৪ জন মারা গেছেন। ৬০০ জন আহত। তার মধ্যে ২০০ জনের আঘাত গুরুতর। প্রচুর মানুষ ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।ভূমিকম্পের পর হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন।
ইন্দোনেশিয়ার ডিজাস্টার এজেন্সি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে। এর ফলে বহু জায়গায় ধ্বস নেমেছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। সুলাওয়েসির ভয়াবহ ভূকম্পের কয়েক ঘণ্টা আগে একই জেলায় আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে। যার ফলে বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার,এলাকায় অবস্থান হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় মাঝারি বা বড় ধরণের ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত ঘটনা। ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের ঘন ঘন স্থানচ্যুতির কারণে এই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে ‘রিং অব ফায়ার। জাপান থেকে শুরু হয়ে প্রশান্ত মহাসগারের উপকূলবর্তী দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এলাকাসমূহ এই ‘রিং অব ফায়ার-এর মধ্যে পড়েছে।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সুলাওয়েসি দ্বীপের উপকূলবর্তী মামুজু শহরে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন শতাধিক মানুষ; গৃহহীন হয়েছিলেন হাজারেরও বেশি।
এর আগে ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছাস বা সুনামিতে সুলাওয়েসি ও পালু দ্বীপে নিখোঁজ হয়েছিলেন ৪ হাজার ৩০০-এরও বেশি মানুষ।একই বছর ইন্দোনেশিয়ার লোম্বক দ্বীপে পরপর দুই সপ্তাহে দুই দফা ভূমিকম্পের ফলে লোম্বক এবং তার পার্শ্ববর্তী দুই দ্বীপ হলিডে ও সামবাওয়াতে ৫৫০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল