বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার আহ্বান নাগরিক সমাজের

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক মানববন্ধনে বক্তারা আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ শূন্যে কোঠায় নামিয়ে আনার আহ্বান জানান ।

 

এছাড়াও  মানববন্ধনে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট,কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ,ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা),বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেট (বি.ডব্লিউ.জি.ই.ডি)  সহ অনেক সংগঠন  অংশ নেন।

 

উক্ত মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সি.পি.আর.ডি’র নির্বাহী প্রধান মো. শামছুদ্দোহা।বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মীহির বিশ্বাস সহ এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধিবৃন্দ।মো. শামছুদ্দোহা বলেন, বর্তমানে  সারাবিশ্বের  জলবায়ু পরিবর্তন এবং এই পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা একটি অনস্বীকার্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

বিজ্ঞানীরা  মানবজাতির  নানান কর্মকাণ্ডের ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসসমূহ বিশেষ করে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রাতিরিক্ত উদ্গিরণকে জলবায়ু পরিবর্তন তথা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে। ইতোমধ্যেই পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সে. বেড়েছে।বক্তারা বলেন  জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ১৯৯২ সালে রাষ্ট্রসমূহের সর্বজনীন কর্মকাঠামো ইউএনএফসিসি গৃহীত হলেও এরপর প্রায় তিন দশক অতিবাহিত হলেও সদস্য রাষ্ট্রসমূহ তাদের কর্তব্য বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।এমনকি ১৯৯৭ সালে গৃহীত কিয়োটো প্রটোকল অনুসারে কার্বন উদ্গিরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও শিল্পোন্নত দেশসমূহ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

 

বক্তারা আরও বলেন,২০৫০ সালের মধ্যে দেশে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে। একই সঙ্গে বহুজাতিক ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই খাতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতকরণের জন্য ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবী গড়ার তাগিদ দেন।

বক্তারা আরও বলেন,আমোরা বাংলাদেশকে নিয়ে বেশী শঙ্কিত কারণ  এখানে কম কার্বন নিঃসরণ  করেও সবচেয়ে অধিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এখনই যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যর্থ হলে চরম  মূল্য দিতে হবে।