আসন্ন ঈদুল আজহার পশুর মূল্য নিয়ে ব্যাপক শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশে কোরবানির জন্য এক কোটি ২৯ লাখ গবাদিপশু মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, ২০২৫ সালের ভেতর দেশকে পিপিআর মুক্ত করা হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে গবাদিপশুর মাংস রফতানির করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি ।

 

কিন্তু পশুর খাদ্যের  মূল্য বৃদ্ধি, বাজার মন্দা, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় পশুর হাট স্থাপনে বিধিনিষেধ ও ন্যায্য মূল্য নিয়ে খামারিরা শঙ্কায় রয়েছেন। তাছাড়া দেশের সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে গরু এলে এবার বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন খামারিরা ।গতবারের মতো এবারও তারা ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।

 

স্থানীয় খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গো-খাদ্য বস্তা প্রতি ১৫০ টাকা বেড়েছে। গমের ছালের দাম বস্তা প্রতি বেড়েছে ২০০ টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের ভূষি ৮০০ টাকা এবং খড় কিনতে হচ্ছে ৬০০ টাকা মণ দরে। প্রতি শতাংশ জমির জাম্বু ঘাস কিনতে হয় ৩০০ টাকা, নেপিয়ার ঘাস ৪০০ টাকা দরে।

 

সিলেটের খামারি জাহেদ আহমদ বলেন, এ বছর কোরবানি উপলক্ষ্যে কয়েকটি গরু তৈরি করেছি।সব হিসেব মিলিয়ে প্রতিটি গরু ৬৫ হাজার করে বিক্রি করতে পারলে কিছু টাকা লাভ করা যাবে।কিন্তু করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় ক্রেতারা এবার খামার থেকেই কোরবানির পশু সংগ্রহে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আর পশু খাদ্যর দাম বৃদ্ধির জন্য পশুর দাম এবার বেশি।

রাজশাহীর খামারি সেতাবুর রহমান জানান, করোনার কারণে পশু খাদ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত ৪ মাস ধরে তারা বেশি দামে গোখাদ্য কিনে পশুগুলোকে খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু ঈদ আসন্ন হলেও গরু বিক্রি অনিশ্চিত থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।

 

রাজশাহীতে  কোরবানির পশু নিয়ে খামারিদের অনিশ্চয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অন্তিম কুমার সরকার বলেন, জেলায় যে পরিমাণ গবাদি পশু রয়েছে তাতে কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র চালান করা যাবে। তবে করোনার প্রভাবে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় এবার খামারিদের লাভ কম হবে। বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকবে না। কারণ সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুরহাট চালু রাখতে নির্দেশ দিয়েছে।